NANCY HAQUE
"I’d say I am from Bangladesh, but I am really not from there."
Home That Never Was
Efad: What does Bangladesh mean to you?
Nancy: I think that there's always been this feeling of... People would ask me when I was a kid, “Where are you from?” Very common for people of color in the United States to be asked that, right? And so I would think about it, and Washington, D.C was never the right answer, right? You know, it took me a while to realize that people were just asking me, “Why are you brown?” You know, and so I would say Bangladesh. But I'm not really from there. And so it [Bangladesh] always felt like the home that never was. Like, this thing that was supposed to be my homeland, but I wasn't really that connected to it. I feel like I'm interested in learning more now. I haven't even been around the language in so many years. I only see my dad about once a year now, and especially with COVID, I haven't seen him in over a year. So Bangla feels like a ghost. The whole language in a way. Because I don't ever hear it. Feels sad to me that I'm so disconnected. So I don't know exactly what it [Bangladesh] means to me. I do feel like I have tried to learn a lot and like it. You know, being political and being left and really thinking a lot about colonialism and what it has meant... I remember in my very early 20s or maybe still in college, and reading about how the British would cut the Bengali weavers’ thumbs so that they couldn't weave their fine cloth because they [the British] wanted all the industry... They just wanted the raw materials from Bangladesh and they wanted to make the cloth in England. I was like, ‘Whoa!’ You know, when I read that. Because one, it's horrible and disturbing. But two, I was also realizing how much the country had been shaped from being the jewel of the subcontinent to how much was taken from us as a people. I feel like being from Bangladesh, you just always have to root for the underdog. You know, we're just always sort of this very put upon country. And yeah, I'm proud to be from Bangladesh. I think that it [Bangladesh] has shaped me in all these ways. I think I'm rambling and not making that much sense... because no one's ever asked me this before.
Nancy: I think that there's always been this feeling of... People would ask me when I was a kid, “Where are you from?” Very common for people of color in the United States to be asked that, right? And so I would think about it, and Washington, D.C was never the right answer, right? You know, it took me a while to realize that people were just asking me, “Why are you brown?” You know, and so I would say Bangladesh. But I'm not really from there. And so it [Bangladesh] always felt like the home that never was. Like, this thing that was supposed to be my homeland, but I wasn't really that connected to it. I feel like I'm interested in learning more now. I haven't even been around the language in so many years. I only see my dad about once a year now, and especially with COVID, I haven't seen him in over a year. So Bangla feels like a ghost. The whole language in a way. Because I don't ever hear it. Feels sad to me that I'm so disconnected. So I don't know exactly what it [Bangladesh] means to me. I do feel like I have tried to learn a lot and like it. You know, being political and being left and really thinking a lot about colonialism and what it has meant... I remember in my very early 20s or maybe still in college, and reading about how the British would cut the Bengali weavers’ thumbs so that they couldn't weave their fine cloth because they [the British] wanted all the industry... They just wanted the raw materials from Bangladesh and they wanted to make the cloth in England. I was like, ‘Whoa!’ You know, when I read that. Because one, it's horrible and disturbing. But two, I was also realizing how much the country had been shaped from being the jewel of the subcontinent to how much was taken from us as a people. I feel like being from Bangladesh, you just always have to root for the underdog. You know, we're just always sort of this very put upon country. And yeah, I'm proud to be from Bangladesh. I think that it [Bangladesh] has shaped me in all these ways. I think I'm rambling and not making that much sense... because no one's ever asked me this before.
ইফাদঃ তোমার কাছে বাংলাদেশ মানে কি?
ন্যান্সিঃ আমার সবসময় এমন একটা ফিলিংস ছিল… যখন ছোটো ছিলাম মানুষ আমাকে জিজ্ঞেস করতো, “তুমি কোন দেশ থেকে এসেছ?” তুমি জানো যে আমেরিকায় যারা সাদা না তাদের জন্য এটা খুবই কমন একটা প্রশ্ন, তাই না? আমি যখন এটা নিয়ে ভাবতাম, তখন মনে হতো ওয়াশিংটন ডি.সি.তো এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর না, তাই না? এবং পরে বুঝতে পারি, মানুষের মূল প্রশ্নটা ছিল যে আমার চামড়ার রং বাদামি কেনো? এই প্রশ্নের জবাবে বলতাম আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। কিন্তু আমিতো আসলে ওখান থেকে আসিনি। আমার মনে হতো বাংলাদেশ আমার দেশ যেটা কোনোদিন আমার দেশ ছিল না। ওটা আমার দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের সাথে আমি কোনোভাবেই কানেক্টেড ছিলাম না। আমার মনে হয় বরঞ্চ এখন আমার বাংলাদেশ নিয়ে জানার আগ্রহ অনেক বেশি। আমি অনেক বছর বাংলা ভাষারও সংস্পর্শে নাই। আমার আব্বার সাথে বছরে একবার মাত্র দেখা হয়, কিন্তু এখন এই কোভিড পরিস্থিতিতে, তার সাথে এক বছরেরও বেশি সময় দেখা হয় না। বাংলা আমার কাছে অনেকটা গোস্ট ল্যাঙ্গুয়েজ, কারণ ভাষাটাকেই এখন আর অত শুনতে পাই না। আমি যে এতটা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি তার জন্য খারাপ লাগে। সো আমার কাছে বাংলাদেশের মানে কী আমি ঠিক জানি না। আমার মনে হয় বাংলাদেশ সম্পর্কে আরো জানার চেষ্টা করেছি এবং সেটা করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি যেহেতু রাজনীতি সচেতন ও বামপন্থী রাজনীতি করি, উপনিবেশবাদ নিয়ে অনেক ভেবেছি, এর অর্থ আসলে কী... আমার মনে আছে, আমার বয়স তখন বিশ কি বাইশ, তখনো হয়তো কলেজে পড়ি, কোথাও পড়েছিলাম যে ব্রিটিশরা বাঙালি তাঁতিদের হাতের আঙ্গুল কেটে নিত যাতে ভালো মানের কাপড় বুনতে না পারে। কারণ ব্রিটিশরা কাপড় তৈরির পুরো ইন্ডাস্ট্রি দখল করতে চাইতো। বাংলাদেশ থেকে ব্রিটিশরা কেবল কাঁচামাল আমদানি করতে চাইতো, কিন্তু কাপড়টা বানাবে ওরাই। এটা পড়ে আমি তো হতবাক। কারণ প্রথমত এই ব্যাপারটা খুবই ভয়াবহ এবং বিচ্ছিরি। দ্বিতীয়ত, একইসাথে এটাও বুঝেছিলাম উপমহাদেশের রত্ন এই দেশটা কীভাবে শোষণের স্বীকার হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আসার মানে হচ্ছে সবসময় কেমন যেন একটা অধঃস্তন অনুভূতি। বাংলাদেশ অনেক কিছু পার করে আসা একটা দেশ। এবং হ্যাঁ, বাংলাদেশ থেকে আসার জন্য আমি গর্বিত। আমি আজকে যেরকম, সেটা হয়েছি কারণ আমরা বাংলাদেশ থেকে এসেছি। আমি মনে হয় খুব এলেমেলো কথা বলছি। যা বলছি এর হয়তো কোনো মানেই নেই কারণ... আমাকে আসলে এই প্রশ্ন এর আগে কেউ করে নাই।
ন্যান্সিঃ আমার সবসময় এমন একটা ফিলিংস ছিল… যখন ছোটো ছিলাম মানুষ আমাকে জিজ্ঞেস করতো, “তুমি কোন দেশ থেকে এসেছ?” তুমি জানো যে আমেরিকায় যারা সাদা না তাদের জন্য এটা খুবই কমন একটা প্রশ্ন, তাই না? আমি যখন এটা নিয়ে ভাবতাম, তখন মনে হতো ওয়াশিংটন ডি.সি.তো এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর না, তাই না? এবং পরে বুঝতে পারি, মানুষের মূল প্রশ্নটা ছিল যে আমার চামড়ার রং বাদামি কেনো? এই প্রশ্নের জবাবে বলতাম আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। কিন্তু আমিতো আসলে ওখান থেকে আসিনি। আমার মনে হতো বাংলাদেশ আমার দেশ যেটা কোনোদিন আমার দেশ ছিল না। ওটা আমার দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের সাথে আমি কোনোভাবেই কানেক্টেড ছিলাম না। আমার মনে হয় বরঞ্চ এখন আমার বাংলাদেশ নিয়ে জানার আগ্রহ অনেক বেশি। আমি অনেক বছর বাংলা ভাষারও সংস্পর্শে নাই। আমার আব্বার সাথে বছরে একবার মাত্র দেখা হয়, কিন্তু এখন এই কোভিড পরিস্থিতিতে, তার সাথে এক বছরেরও বেশি সময় দেখা হয় না। বাংলা আমার কাছে অনেকটা গোস্ট ল্যাঙ্গুয়েজ, কারণ ভাষাটাকেই এখন আর অত শুনতে পাই না। আমি যে এতটা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি তার জন্য খারাপ লাগে। সো আমার কাছে বাংলাদেশের মানে কী আমি ঠিক জানি না। আমার মনে হয় বাংলাদেশ সম্পর্কে আরো জানার চেষ্টা করেছি এবং সেটা করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি যেহেতু রাজনীতি সচেতন ও বামপন্থী রাজনীতি করি, উপনিবেশবাদ নিয়ে অনেক ভেবেছি, এর অর্থ আসলে কী... আমার মনে আছে, আমার বয়স তখন বিশ কি বাইশ, তখনো হয়তো কলেজে পড়ি, কোথাও পড়েছিলাম যে ব্রিটিশরা বাঙালি তাঁতিদের হাতের আঙ্গুল কেটে নিত যাতে ভালো মানের কাপড় বুনতে না পারে। কারণ ব্রিটিশরা কাপড় তৈরির পুরো ইন্ডাস্ট্রি দখল করতে চাইতো। বাংলাদেশ থেকে ব্রিটিশরা কেবল কাঁচামাল আমদানি করতে চাইতো, কিন্তু কাপড়টা বানাবে ওরাই। এটা পড়ে আমি তো হতবাক। কারণ প্রথমত এই ব্যাপারটা খুবই ভয়াবহ এবং বিচ্ছিরি। দ্বিতীয়ত, একইসাথে এটাও বুঝেছিলাম উপমহাদেশের রত্ন এই দেশটা কীভাবে শোষণের স্বীকার হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আসার মানে হচ্ছে সবসময় কেমন যেন একটা অধঃস্তন অনুভূতি। বাংলাদেশ অনেক কিছু পার করে আসা একটা দেশ। এবং হ্যাঁ, বাংলাদেশ থেকে আসার জন্য আমি গর্বিত। আমি আজকে যেরকম, সেটা হয়েছি কারণ আমরা বাংলাদেশ থেকে এসেছি। আমি মনে হয় খুব এলেমেলো কথা বলছি। যা বলছি এর হয়তো কোনো মানেই নেই কারণ... আমাকে আসলে এই প্রশ্ন এর আগে কেউ করে নাই।
Father
Efad: Can you tell me more about your family's history of migration?
Nancy: Sure. So my father was in the Pakistan Air Force. I think in 1970, knowing what was coming with Bangladeshi independence, he asked to be transferred to London or Washington D.C. And he was. We came to D.C. and then he was actually part of starting the Bangladeshi embassy in the United States. He had been sort of an administrative person, you know. He helped do a lot of the administrative tasks to help the set up. It was this interesting thing of him being in that position and having some diplomatic status. But we were very working-class and he worked at a gas station at night. Yeah, he basically worked there [Bangladeshi embassy] like a secretary or did other admin office tasks.
Nancy: Sure. So my father was in the Pakistan Air Force. I think in 1970, knowing what was coming with Bangladeshi independence, he asked to be transferred to London or Washington D.C. And he was. We came to D.C. and then he was actually part of starting the Bangladeshi embassy in the United States. He had been sort of an administrative person, you know. He helped do a lot of the administrative tasks to help the set up. It was this interesting thing of him being in that position and having some diplomatic status. But we were very working-class and he worked at a gas station at night. Yeah, he basically worked there [Bangladeshi embassy] like a secretary or did other admin office tasks.
ইফাদঃ তোমার পরিবারের অভিবাসনের ইতিহাস সম্পর্কে আরেকটু বল?
ন্যান্সিঃ অবশ্যই। আমার আব্বা পাকিস্তান বিমান বাহীনিতে ছিলেন। ১৯৭০ সালে, আমার মনে হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা আঁচ করতে পেরে, আব্বা লন্ডন বা ওয়াশিংটন ডিসি দুইটার যেকোনো এক শহরে বদলি হতে চেয়েছিলেন, এবং বদলি হয়েছিলেন। আমরা ওয়াশিংটন ডি.সি. তে চলে আসি। আব্বা ইউএসএতে বাংলাদেশের দূতাবাস চালু করার কাজে যুক্ত ছিলেন। মানে উনি আসলে একটু প্রশাসনিক ধাঁচের মানুষ ছিলেন। তিনি দূতাবাস চালু করার জন্য যেসব দাপ্তরিক কাজকর্ম ছিল সেসব করতেন। মজার ব্যাপার হলো এরকম কিছুটা কূটনীতিক মর্যাদা থাকার পরেও আমরা খুবই ওয়ার্কিং ক্লাস ছিলাম এবং বাবা রাতে একটা গ্যাস স্টেশনেও কাজ করতেন। এম্বাসিতে তিনি সহকারী ধরণের একজন ছিলেন বা অন্যান্য প্রশাসনিক কাজগুলো করতেন।
ন্যান্সিঃ অবশ্যই। আমার আব্বা পাকিস্তান বিমান বাহীনিতে ছিলেন। ১৯৭০ সালে, আমার মনে হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা আঁচ করতে পেরে, আব্বা লন্ডন বা ওয়াশিংটন ডিসি দুইটার যেকোনো এক শহরে বদলি হতে চেয়েছিলেন, এবং বদলি হয়েছিলেন। আমরা ওয়াশিংটন ডি.সি. তে চলে আসি। আব্বা ইউএসএতে বাংলাদেশের দূতাবাস চালু করার কাজে যুক্ত ছিলেন। মানে উনি আসলে একটু প্রশাসনিক ধাঁচের মানুষ ছিলেন। তিনি দূতাবাস চালু করার জন্য যেসব দাপ্তরিক কাজকর্ম ছিল সেসব করতেন। মজার ব্যাপার হলো এরকম কিছুটা কূটনীতিক মর্যাদা থাকার পরেও আমরা খুবই ওয়ার্কিং ক্লাস ছিলাম এবং বাবা রাতে একটা গ্যাস স্টেশনেও কাজ করতেন। এম্বাসিতে তিনি সহকারী ধরণের একজন ছিলেন বা অন্যান্য প্রশাসনিক কাজগুলো করতেন।
Felt Like An Outsider
Efad: Can you talk about how your family's migration shaped you growing up?
Nancy: So when I was very small, we lived in Arlington. It was more diverse, you know, outside Washington D.C. Then when we moved to Fairfax, it was very white. People would ask us if we knew a family three blocks away that were Filipino, you know. And we're like, ‘No!’ Actually, we did know them but it’s not because we're from the same place. It was very racist. There were active KKK members in my neighborhood. People would put glass under my dad's tires. And, you know, it was pretty actively racist. I definitely got made fun of a lot. You just felt pretty out of it. I'd say it was like not really being sure where my place was. I didn't want to be white, but I also didn't really know where I belonged. I think I always felt like an outsider. Which in some ways, I think, shapes so much about me and even my queer identity. It just all made sense because I always felt like an outsider. I can never imagine being a regular American.
Nancy: So when I was very small, we lived in Arlington. It was more diverse, you know, outside Washington D.C. Then when we moved to Fairfax, it was very white. People would ask us if we knew a family three blocks away that were Filipino, you know. And we're like, ‘No!’ Actually, we did know them but it’s not because we're from the same place. It was very racist. There were active KKK members in my neighborhood. People would put glass under my dad's tires. And, you know, it was pretty actively racist. I definitely got made fun of a lot. You just felt pretty out of it. I'd say it was like not really being sure where my place was. I didn't want to be white, but I also didn't really know where I belonged. I think I always felt like an outsider. Which in some ways, I think, shapes so much about me and even my queer identity. It just all made sense because I always felt like an outsider. I can never imagine being a regular American.
ইফাদ: তোমার পরিবারের অভিবাসিত হয়ে আমেরিকায় আসাটা তোমার বেড়ে ওঠাকে কীভাবে প্রভাবিত করেছে?
ন্যান্সি: যখন আমি খুব ছোট ছিলাম, আমরা আর্লিংটনে থাকতাম। এই এলাকাটা ওয়াশিংটন ডি.সি.র বাইরে খুব ডাইভার্স একটা জায়গা ছিল। তারপর আমরা ফেয়ারফ্যাক্সে চলে গেলাম, ওটা মূলত সাদাদের এলাকা ছিল। ওখানকার সাদারা আমাদের জিজ্ঞাসা করতো আমাদের তিন ব্লক পরে যে ফিলিপিনো পরিবার থাকে, তাদেরকে আমরা চিনি কিনা। আমরা বলতাম ‘নাহ!’, আমরা যদিও সেই ফিলিপিনো পরিবারকে প্রতিবেশী হিসেবে চিনতাম, এই জন্য না যে আমরা এশিয়া থেকে এসেছি। ফেয়ারফ্যাক্স খুব রেসিস্ট একটা টাউন ছিল। আমাদের পাড়ায় সক্রিয় ক্লু ক্ল্যাক্স ক্লান’র [সাদা বর্ণবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন] সদস্য ছিল। লোকেরা আমার বাবার গাড়ির টায়ারের নিচে কাঁচ ফেলে রাখতো। এরা বেশ সক্রিয়ভাবে বর্ণবাদী ছিল। আমাকে নিয়েও অনেক মজা করেছে। মনে হতো আমার ওখানে থাকার কথা না। কিন্তু আমার কোথায় থাকার কথা সেটাও শিউর ছিলাম না। আমি সাদাদের মতো হতে চাইনি কোনোদিন, কিন্তু আমি আসলে কাদের মতো সেটাও জানতাম না। আমার নিজেকে সবসময় আউটসাইডার মনে হতো। এই আউটসাইডার মনে হওয়াটাই আমাকে আসলে আমার কুইয়ার পরিচয় তৈরী করতে অনেক সাহায্য করেছে। আমেরিকায় অনেক কিছুরই মানে করা যায় যদি নিজেকে আউটসাইডার ভাবতে পারি। সেই অর্থে আমি নিজেকে কোনোদিন রেগুলার আমেরিকান মনে করতে চাইনি।
ন্যান্সি: যখন আমি খুব ছোট ছিলাম, আমরা আর্লিংটনে থাকতাম। এই এলাকাটা ওয়াশিংটন ডি.সি.র বাইরে খুব ডাইভার্স একটা জায়গা ছিল। তারপর আমরা ফেয়ারফ্যাক্সে চলে গেলাম, ওটা মূলত সাদাদের এলাকা ছিল। ওখানকার সাদারা আমাদের জিজ্ঞাসা করতো আমাদের তিন ব্লক পরে যে ফিলিপিনো পরিবার থাকে, তাদেরকে আমরা চিনি কিনা। আমরা বলতাম ‘নাহ!’, আমরা যদিও সেই ফিলিপিনো পরিবারকে প্রতিবেশী হিসেবে চিনতাম, এই জন্য না যে আমরা এশিয়া থেকে এসেছি। ফেয়ারফ্যাক্স খুব রেসিস্ট একটা টাউন ছিল। আমাদের পাড়ায় সক্রিয় ক্লু ক্ল্যাক্স ক্লান’র [সাদা বর্ণবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন] সদস্য ছিল। লোকেরা আমার বাবার গাড়ির টায়ারের নিচে কাঁচ ফেলে রাখতো। এরা বেশ সক্রিয়ভাবে বর্ণবাদী ছিল। আমাকে নিয়েও অনেক মজা করেছে। মনে হতো আমার ওখানে থাকার কথা না। কিন্তু আমার কোথায় থাকার কথা সেটাও শিউর ছিলাম না। আমি সাদাদের মতো হতে চাইনি কোনোদিন, কিন্তু আমি আসলে কাদের মতো সেটাও জানতাম না। আমার নিজেকে সবসময় আউটসাইডার মনে হতো। এই আউটসাইডার মনে হওয়াটাই আমাকে আসলে আমার কুইয়ার পরিচয় তৈরী করতে অনেক সাহায্য করেছে। আমেরিকায় অনেক কিছুরই মানে করা যায় যদি নিজেকে আউটসাইডার ভাবতে পারি। সেই অর্থে আমি নিজেকে কোনোদিন রেগুলার আমেরিকান মনে করতে চাইনি।
I Could Be Anything
Thinking about being young, I think about what they [parents] really gave me, which I don't think they necessarily meant to, but with all the pressures of, you know, to become a doctor or an engineer... What they really gave me was this belief that I could be anything I wanted. That I was smart enough. That I was capable enough. That I could be anything. I don't think they realized that I could be queer. That I could, you know, be an activist. That I could, you know, have a really different life. I have always been so used to being the only person like me in almost every room that I'm in. My queer identity is actually a pretty small part of the overall picture of who I am. Like, all the work I did before... You know, the past six years were always about economic justice, worker's rights, civic engagement, and voter rights. It [queer identity] has always been just one piece of my puzzle, right?
ছোটবেলায় বাবা-মা আমার মধ্যে এমন একটা বিশ্বাস তৈরী করে দেয়, যদিও তারা সেটা সচেতনভাবে করেননি, কারণ তারা আমাকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবার চাপ দিতো, যে আমি যা চাই তা হতে পারবো। তারা ভাবতো আমি স্মার্র্ট। তারা ভাবতো আমি যোগ্য। তারা ভাবতো আমি যা চাই তাই হতে পারবো। অবশ্যই তারা ভাবেনি বড় হয়ে আমি কুইয়ার হবো। বা একভিস্ট হবো। তারা ভাবেনি আমি এরকম আলাদা একটা জীবন বেছে নিবো। আমি যেখানেই যাই, সেখানে আমার মতো (পিপল অব কালার) আর দ্বিতীয় কাউকে না দেখেতে পেয়ে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। একারণেই মনে হয় আমার কুইয়ার পরিচয় আমার আত্ম পরিচয়ের একটা অত্যন্ত ক্ষুদ্র অংশ। আমি আমার জীবনে অধিকার নিয়ে যত কাজ করেছি… গত ছয় বছরে… সেগুলো মূলত অর্থনৈতিক ন্যায্যতা, শ্রমিক অধিকার, সিভিক এঙ্গেজমেন্ট ও ভোটের অধিকার। আমার আইডেন্টিটির পাজলের মধ্যে ওটা [কুইয়ার আইডেন্টিটি] শুধুই একটা ছোট্ট টুকরা, তাই না?
Social Justice
I went to my first protest when I was in fourth grade. It was ‘Rock against Reagan’. It was a big punk rock concert. I had an older brother who was into punk music and it sort of made sense to me in the sense that I already felt really different from everybody, listening to this fringe music. I started going to protest at a very young age.
Besides the concert, the first one I went to on my own with my friends was the ‘March for Reproductive Rights’. There was a huge march in Washington, D.C. in 1988... I was a freshman in high school and I went with some friends who were a little older and who could drive. That was the first march I went to on my own.
But then I grew up in a place in D.C. where there were these huge marches. It always felt appealing to me to fight for rights. And probably some of what spurred me was really thinking about my dad and how hard he had to work sometimes. When I was in fifth grade, we had to do a project where we surveyed how many hours a week our fathers worked, how far they had to commute, how long their commutes took and then put that in the survey format. My dad worked 80 hours a week. Nobody believed me. Because it was like, ‘no, that's not possible’. But he would leave the house at 8:00 in the morning and come home at 2:00 in the morning. He got very little sleep and worked two full-time jobs, working in the office during the day and then in the movie theater at night. You know, I realized that other people's dads worked half as much. It was like, ‘That's not fair’.
আমি যখন ফোর্থ গ্রেডে পড়ি তখন প্রথম কোনো প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিই। মিছিলটার নাম ছিল ‘রক এগেইন্সট রিগ্যান’। একটা বড় পাঙ্ক রক কনসার্ট। আমার আপন বড় ভাই পাঙ্ক মিউজিক করতো। আমার তখন এমনিতেই নিজেকে সবার থেকে আলাদা মনে হতো সো পাঙ্ক মিউজিক আমার কাছে অনেক আকর্র্ষনীয় লাগতো। আমি খুব অল্প বয়সেই প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেয়া শুরু করি। ওই কনসার্ট ছাড়াও, আমি নিজে নিজে প্রথম বন্ধুদের সাথে যে মিছিলে যাই ওটার নাম ছিল 'মার্চ ফর রিপ্রোডাকটিভ রাইট'। ১৯৮৮ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে এই বিশাল মার্চটা হয়েছিল... এবং তখন আমি হাই স্কুলে ফ্রেশম্যান এবং যে বন্ধুদের সাথে গিয়েছিলাম তারা আমার চাইতে কিছুটা বয়সে বড় ছিল আর গাড়ি চালাতে পারত। এই মিছিলটা ছিল আমার নিজ থেকে অংশ নেয়া প্রথম প্রতিবাদ সমাবেশ। আমি যেহেতু ওয়াশিংটন ডি.সি.তে বড় হয়েছি, ওখানে অনেক বড় বড় প্রতিবাদ সমাবেশ হতো। অধিকারের জন্য লড়াই করাটা আমাকে সবসময় খুব টানতো। আর কিছুটা বোধ হয় আব্বাকে দেখে যাকে অসম্ভব পরিশ্রম করতে হতো আমাদের পরিবারের খরচ জোগাতে। যখন আমি ফিফথ গ্রেডে পড়ি তখন আমাদের একটা প্রজেক্ট করতে হয়েছিল। সেখানে আমরা জরিপ করেছিলাম আমাদের বাবারা সপ্তাহে কত ঘন্টা কাজ করেন এবং কতটা সময় আসা-যাওয়ার মধ্যে ব্যয় হয়। আমার আব্বা তখন সপ্তাহে ৮০ ঘন্টা কাজ করতেন। কেউ আমার কথা বিশ্বাস করেনি। সবাই ভেবেছিল “না এটাতো সম্ভবই না”। আব্বা সকাল আটটায় বাসা থেকে বের হয়ে রাত ২ টায় ফিরতেন এবং খুব অল্প সময় ঘুমাতেন। তিনি দুইটা ফুলটাইম চাকরি করতেন। দিনের বেলা একটা অফিসে এবং রাতে একটা সিনেমা হলে কাজ করতেন। পরে আমি যখন এটা বুঝতে পারি যে অন্য সবার বাবারা এর অর্ধেক সময় কাজ করছে, তখন আমার এটাকে অন্যায্য মনে হয়েছিল।
Marriage Campaign
More recently I've worked as part of an organization that I helped start. It’s called One Oregon, which is a coalition of community, environmental, like all sorts of social justice organizations that came together around racial justice, immigrant rights, and fighting anti-muslim bias. We had to accelerate our existence in 2016 because of Trump getting elected. My specific role there was being part of the ‘Basic Rights Oregon’. We were working on the marriage campaign. One of the things that was really successful was shifting the narrative around marriage. It [marriage] had been under this frame of rights and responsibility. That's how people talked about it. They talked about the 1,032 tax benefits that married couples got that LGBTQ couples were not entitled to. We helped shift that frame to love and commitment. When we talk to people about why LGBTQ people want to get married, we say it is because of love and commitment. And then all of a sudden straight people were like, ‘Ding, gay people want to get married for the same reason I do!’ You know? It was an important shift in the fight for marriage equality.
সাম্প্রতিক সময়ে আমি একটি সংস্থায় কাজ করছি যেটাকে আমি শুরু করতে সাহায্য করেছিলাম। এটার নাম ওয়ান ওরেগণ, এটা পরিবেশবাদী ও বিভিন্ন ধরণের সোশ্যাল জাস্টিস অর্গানাইজেশন ও কমিউনিট্যির একটা জোট। এই অর্গানাইজেশনগুলো রেসিয়াল জাস্টিস, অভিবাসী অধিকার এবং মুসলিম বিদ্বেষ ফাইট করা ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে কাছাকাছি এসেছিল। ২০১৬ সালে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর আমাদের কাজ আরো বেগবান হয়। আমার সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব ছিল 'বেসিক রাইটস ওরেগণ'-এর অংশ হিসেবে কাজ করা। আমরা ম্যারিজ ক্যাম্পেইন নিয়ে কাজ করেছিলাম। বিয়ে নিয়ে মানুষের জনমত পরিবর্তন করতে পারাটা একটা খুব সাফল্যের ব্যপার ছিল। ওই সময় বিয়ের আলাপটা অধিকার এবং দায়িত্ববোধের ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে ছিল। সাধারানত বিয়ে নিয়ে যে আলাপটা হত সেটা ছিল যে [বিসমকামী] বিবাহিত দম্পতিরা ১,০৩২ রকমের ট্যাক্স সুবিধা পায় কিন্তু এলজিবিটিকিউ কাপলরা পায় না। আমরা এই আলাপটাকে ভালোবাসা এবং পারস্পরিক অঙ্গীকারের ফ্রেমওয়ার্কে নিয়ে আসতে সাহায্য করেছি। যখন লোকজন এলজিবিটিকিউর মানুষেরা কেন বিয়ে করতে চায় এইটা নিয়া কথা বলে, আমরা বলি, “সিম্পল! প্রেম ও প্রতিশ্রুতির কারণে।” তারপর যেন হঠাৎ করে স্ট্রেইট লোকেরা বুঝতে পারে, ‘আমি যে কারণে বিয়ে চাই তারাওতো একই কারনে চায়!’ সমকামী সমতাভিত্তিক বিয়ের আন্দোলনে মানসিকতার এই পরিবর্তন অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
Artifacts