RASEL AHMED

"Even though I am at the bottom of the state protection in the U.S., being stateless feels liberating at times."
Xulhaz is Family


I had a coming-of-age relationship with Xulhaz. I met him when I was going to higher secondary school. I was admitted to a film school when he was murdered in 2016. So the relationship that I had with him—which went a long way back—gave me a lot that I wasn’t getting from my [biological] family. It was an intense relationship. I remember I had my first plane ride with Xulhaz. Because of the family that I came from, there were a lot of challenges—even buying the ticket for that trip. We were planning to go to Bangkok and I didn’t have any money! So Xulhaz volunteered to buy the plane ticket and asked me to pay for my food and accommodation. He was determined to have me because he wanted to see my expression riding an airplane for the first time. My enthusiasm was high too. I was saving money from the salary of a tutoring job. I sold my digital camera. But eventually, it turned out that my parents don’t have enough cash in their bank account required to apply for a Thai visa. So Xulhaz went all the way to prepare a sponsorship letter with his personal bank statement and submitted it through a personal contact he had at the Thai embassy. I got the visa even though Xulhaz wasn’t an immediate family member. It was of course because of that personal contact. Xulhaz took the trouble because he wanted to see my expression of riding the airplane for the first time. It’s a very privileged narrative—now that I am reflecting on it—but nonetheless, it’s a beautiful memory. I remember many first times with Xulhaz. That’s my coming-of-age-making-family experience. It was a relationship that I can never explain in words. I think he was partly my mentor but I had a lot of challenges with it. I never fully accepted him as a mentor. He was older than me. So he had certain perspectives because of his life experiences. And then he was a friend—enemy—nemesis. I don’t know. It was like a journey. But I think this is how the family is—it’s never perfect. I was deprived of many things from my [biological] family. I wasn’t out to them. Not just my sexual orientation. They didn’t know about my political position or religious belief or any other emotional stuff. It was a privilege to share myself with a person with who I had a bittersweet and intense relationship at a formative age. Xulhaz soon substituted my family. Sometimes I felt he was my brother, sometimes my father, and mother. I remember the preferential treatment I received at his place. For example, Xulhaz preferred his guests to clean their dishes after eating at his place. I wouldn’t do it. And he never singled me out for that. It’s not an ideal example but that’s how he made me feel special. And probably that’s what a family makes you feel. In the simplest gestures, they make you feel special.

জুলহাজের সাথে আমার বড় হয়ে ওঠার সম্পর্ক ছিল।ওর সাথে আমার পরিচয় যখন আমি এইচ এস সি পড়ি তখন। আর ২০১৬ তে যখন ও খুন হয় তখন আমি ফিল্ম স্কুলে যাচ্ছি আন্ডারগ্র্যাড শেষ করে। এই যে লম্বা একটা সময় ধরে আমাদের যে সম্পর্ক—এই সম্পর্কে আমি এমন অনেক কিছু পেয়েছিলাম যেটা আমার পরিবারের কাছ থেকে পাইনি। সম্পর্কটা খুব গভীর ছিল। আমার মনে আছে, আমার জীবনের প্রথম প্লেনে চড়া জুলহাজের সাথে। আমার ফ্যামিলির আসলে ফাইনান্সিয়াল সামর্থ ছিল না আমাকে প্লেনের টিকেট কেটে দেবার। আমাদের প্ল্যান ছিল থাইল্যান্ড ট্রিপের কিন্তু আমার পকেটে টাকা নাই! জুলহাজ বললো আমি প্লেনের টিকেট কিনে দিচ্ছি, তুমি শুধু থাকা খাওয়ার খরচ ম্যানেজ করো। জুলহাজ আমাকে সাথে নিবেই, আমি প্রথমবার প্লেনে উঠার পর আমার এক্সপ্রেশন কেমন হবে সেটা দেখার জন্য। আমারও অনেক উৎসাহ ছিল। আমি আমার টিউশনি থেকে টাকা জমাচ্ছিলাম। আমার ডিজিটাল ক্যামেরাটা বিক্রি করে দিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেলো - থাই ভিসা এপ্লাই করার জন্য যে মিনিমাম টাকা ব্যাংক একাউন্টে দেখাতে হয় সেটা আমার বাবা-মায়ের ব্যাংক একাউন্টে নেই। জুলহাজ হাল ছাড়লো না। ওর থাই এমব্যাসির লোক পরিচিত ছিল। তার কাছে আমাকে স্পন্সরশিপের লেটার পাঠালো ওর নিজের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিয়ে। শেষ পর্যন্ত ভিসা পাই, যদিও জুলহাজ আমার ফ্যামিলি মেম্বার ছিল না। ওর ওই কানেকশনের কারণেই ভিসাটা হয়।। শুধু আমার প্রথম প্লেনে চড়ার অভিব্যক্তি দেখার জন্য জুলহাজ এত কাঠখড় পোড়ালো। এটা খুব প্রিভিলেজড একটা ন্যারেটিভ—এখন আমি এইটার উপরে রিফ্লেক্ট করতেছি—কিন্তু তবুও এটা অনেক সুন্দর একটা স্মৃতি। এবং আমার মনে আছে আরো অনেক জিনিস আমি জুলহাজের সাথে করছি যেগুলা আমার জীবনে প্রথমবার ছিল। এটা আসলে রক্তের পরিবারের বাইরে পরিবার বানানোর গল্প। এটা এমন একটা সম্পর্ক ছিল যেটাকে আমি কোন সংজ্ঞা দিয়ে ব্যাখা করতে পারবো না। সে হয়তো আমার মেন্টর ছিল কিন্তু আমি তাকে কখনো আমার মেন্টর হিসেবে পুরোপুরি এক্সেপ্ট করি নাই। সে আমার চাইতে বয়সে অনেক বড় ছিল। জীবনের অভিজ্ঞতার কারণে তার নির্দিষ্ট কিছু পার্সপেক্টিভ ছিল। জুলহাজ আমার বন্ধু ছিল—শত্রুও—এবং নেমেসিস—[হা-হা] আমি জানি না। এটা একটা জার্নির মত ছিল। আমার মনে হয় পরিবার এমনই—পরিবার কোনোদিন পারফেক্ট হয় না। আমার নিজের পরিবারে অনেক কিছুর অভাব ছিল। আমি তাদের কাছে আউট ছিলাম না—কেবল আমার সেক্সচুয়াল অরিয়েন্টেশন না, আরো অনেক কিছুর ব্যাপারেই। আমি খুব ভাগ্যবান যে পরিবারের সাথে যে শেয়ারিংটা করতে পারার খুব প্রয়োজন ছিল সেটা জুলহাজের সাথে হতো, সেটাও আমার খুব ফর্মেটিভ একটা বয়সে। জুলহাজ বিনা চেষ্টায় আমার নিজের ফ্যামিলির সাবস্টিটিউট হয়ে যায়। মাঝে মাঝে সে আমার ভাই ছিল, কখন বাবা, কখনো মা। আমার মনে আছে ওর বাসায় আমি খুব আলাদা এটেনশন পেতাম, যেটা অন্যরা পেতো না। যেমন তার বাসায় একটা কড়া নিয়ম ছিল যে খাওয়ার পরে সবাইকে নিজের নিজের প্লেট ধুয়ে রাখতে হবে। আমি কোনোদিন সেটা করতাম না। জুলহাজ এটা নিয়ে আমাকে কোনোদিন কিছু বলেনি। আমি জানি এটা ভালো কোনো উদাহরণ না, কিন্তু আমি বুঝতে পারতাম ওর কাছে বাকিদের চেয়ে আমি স্পেশাল। পরিবার তো এমনই, তাই না? খুব ছোট্র একটা কিছু করে বুঝিয়ে দিবে তুমি স্পেশাল।
Temporary, Permanent


I had an absolutely unplanned migration—temporary migration became permanent. After Xulhaz and Tonoy’s murder—State Minister Asaduzzaman Khan went on live and said, “We know the people involved with the [gay] magazine and this is not allowed in Bangladesh. We will take action against these people.” The government chose to intimidate the victim. We were attacked. Instead of protecting us, the government threatened us. I couldn’t feel safe. There was no way I would go back to a country that had not only failed to protect my friends but was threatening me. And my parents were freaking out—for my safety and their safety. My friends actively searched for a solution if I could stay in India—seeking asylum in India. We found out Muslims coming from Bangladesh are not eligible to seek asylum in India.

আমার দেশ ছাড়াটা একদম অপরিকল্পিত ছিল—টেম্পোরারি মাইগ্রেশন পারমানেন্ট হয়ে গেলো। জুলহাজ ও তনয়ের খুনের পরে—বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান মিডিয়াকে বললেন, “আমরা জানি কারা কারা এই [গে] ম্যাগাজিনের সাথে জড়িত আছে। বাংলাদেশে এইটা এলাও না, আমরা এইসব লোকের বিরুদ্ধে একশ্যন নিবো।” যারা আক্রমণের শিকার হয়েছিল তাদেরকেই সরকার ভয় দেখানো শুরু করলো। আমরা আক্রমণের শিকার। আমাদের নিরাপত্তা না দিয়ে সরকার আমাদেরকেই থ্রেট দিচ্ছিল। তখন আমার কাছে দেশটা আর নিরাপদ মনে হয়নি। আমি কোনোদিন সেই দেশে ফেরত যেতে চাই না যে দেশ কেবল জুলহাজদের জীবনের নিরাপত্তা দিতেই ব্যর্থ হয়নি, উল্টো আমাদের শাসাচ্ছিল। কলকাতায় আমার বন্ধুরা উপায় খুঁজে দেখছিলো আমি যদি ইন্ডিয়াতে এসাইলাম নিয়ে থেকে যেতে পারি। কিন্তু জানতে পারলাম বাংলাদেশী মুসলমানদের ইন্ডিয়া এসাইলাম দেয় না।
Migration Became Meaningless


I am not migrant material, you know. I thought I wouldn’t be able to sustain migration. I was going through a lot of challenges. Unlike others, I couldn’t say—fuck it, I am going back. I mean, I could. I believe I still can. And there was a time when I was ready to go back to Bangladesh. Particularly after the end of the fellowship when my financial protection was gone. I was getting a monthly salary from my fellowship. When the financial protection disappeared, the struggle was not only emotional but also financial. It was an existential crisis. At one point, I began to compare my mental health crisis and other hardships as an immigrant with the fear of getting killed in Bangladesh. Migration eventually became meaningless. I was thinking about the meaning of life. What did it mean to me? Why was I alive? I was questioning if it was worth enduring the anxiety, depression, and profound meaninglessness as a migrant. You asked an interesting question about my expectations as a migrant. I didn’t have any! I wasn’t planning for this. I never had an aspiration to become a citizen or make a lot of money. I was doing political work in Bangladesh and suddenly that work was taken from me. My activism gave me the purpose of my life. My unplanned migration took it away from me. I wondered if I should choose death over loneliness. The depression could have made me suicidal. Even though I wasn’t. But it was becoming really, really, hard. Coming from that point when I think about it now, I don't have the similar feelings for Bangladesh like two years ago. I don’t have the craving for going back to Bangladesh. I feel, maybe, I won’t be able to cross the road in Bangladesh now. The other day my mother sent me a video and it was so noisy. That is Bangladesh. It’s very chaotic. I am used to the silence nowadays. My ears are habituated to a different soundscape. Do I want to change that? How would it affect my mood? I never thought about these things in the beginning. Now I think about the quality of life. This is how migration changes you, right? You have so much vulnerability but then the air quality is amazing in this country. You have so much vulnerability but then the public transportation is a lot better. You have so much vulnerability but you can be gay without worrying about being killed if you are a cis-passing gay man.

আমি আসলে ঠিক মাইগ্র্যান্ট ম্যাটেরিয়াল না, আমি আমার মাইগ্রেশন স্ট্যাটাস আর টিকিয়ে রাখতে পারছিলাম না। আমি অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। বাকি সবার মতো আমার অপশন ছিল না যে—ফাক ইট, আমি দেশে ফিরে যাবো। মানে আমি যেতে পারতাম, আমি চাইলে এখনো যেতে পারি। একটা সময় ছিল যখন মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম যে দেশে চলে যাবো। যখন আমার ফেলোশিপ শেষ হয়ে গেলো, তখন ফাইনান্সিয়াল প্রোটেকশনটাও চলে গেলো। ফেলোশিপ চলাকালীন আমি মাসে মাসে বেতন পেতাম। যখন সেটা শেষ হয়ে গেলো তখন এটা আর শুধু আবেগের ব্যাপার না, অর্থনৈতিক ব্যাপার হয়েও দাড়িয়েছিল—সব মিলিয়ে আমার পুরো অস্তিত্ব তখন হুমকির মুখে। একটা পর্যায়ে আমি আমার মানসিক স্বাস্থ্যের দুরাবস্থা ও মাইগ্র্যান্ট হিসেবে যেসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম তার সাথে বাংলাদেশের সরকারি নির্যাতন বা থার্ড পার্টি ভায়োলেন্সের তুলনা করতে শুরু করি। মাইগ্রেশনটা ধীরে ধীরে আমার কাছে অর্থহীন মনে হতে শুরু করে। আমি আমার জীবনের অর্থ নিয়ে ভাবতাম। জীবন মানে কি শুধুই বেঁচে থাকা? আমি কেনো বেঁচে আছি? আমি ভাবতে লাগলাম এই যে মাইগ্রেশনের জন্য এংজাইটি, বিষন্নতা, বা গভীর অবসাদের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলাম, এর কি কোনো মানে হয়? তুমি একটা ইন্টারেষ্টিং প্রশ্ন করেছিলে, আমার মাইগ্রেশন নিয়ে এক্সপেক্টেশন কি। আমার কোনো এক্সপেক্টেশন নেই! আমার তো মাইগ্রেশনের কোনো প্ল্যানই ছিল না। উন্নত দেশের সিটিজেন হওয়া বা অনেক টাকা ইনকাম করা কোনোদিনই আমার জীবনের লক্ষ্য ছিল না। আমি বাংলাদেশে সাংগঠনিক কাজ করতাম এবং হঠাৎ করেই আমার কাছ থেকে সে সব কাজ কেড়ে নেওয়া হলো। সামাজিক সংগঠক হিসেবে যা করতাম, ঐ কাজগুলাই আমার জীবনে নতুন এক ধরনের অর্থ তৈরী করে। মাইগ্রেশনের পর সেগুলো সব চলে গেলো। আমি অনেক একা হয়ে গেছিলাম। একটা সময় আমি একাকীত্বের উপরে মৃত্যুকে বেছে নিবো কীনা সেটাও ভেবেছি। কারণ এই মাইগ্রেশন হয়ত আমাকে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে গেলো যখন আমি সুইসাইডাল চিন্তা ভাবনা শুরু করলাম। যদিও সেরকম কিছু হয়নি। কিন্তু দিন দিন সবকিছু অনেক অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। সেই ভঙ্গুর মানসিক অবস্থা থেকে আমি যদি বর্তমানের কথা চিন্তা করি—এখন আমি বাংলাদেশ নিয়ে ততটা ভাবি না যতটা দুইবছর আগে ভাবতাম। এখন আর আমার দেশে ফিরে যাবার সেই আকুতিটাও আর নেই। মনে হয় এখন যদি ফিরে যাই আমি হয়তো আর আগের মত করে রাস্তা পার হতে পারবো না। কয়েকদিন আগে মা আমাদের ঢাকার বাসার একটা ভিডিও পাঠিয়েছিল, ভিডিওটায় অনেক নয়েজ শোনা যাচ্ছিলো। এই হইহুল্লোড় মনে করায় দিলো যে বাংলাদেশ পুরাই একটা ক্যাওয়াস। আমি আসলে এখন কম শব্দে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আমার সাউন্ডস্কেপের মাত্রা এখন ভিন্ন।। আমি কি এর পরিবর্তন চাই? সেটা আমার মুডকে কীভাবে এফেক্ট করবে? শুরুতে আমি এগুলা নিয়ে ভাবি নাই। কিন্তু এখন আমি জীবন যাপনের মান নিয়ে ভাবছি। এটাওতো মাইগ্রেশন, তাই না? আমেরিকায় ইমিগ্রেন্ট হিসেবে তোমার অনেক ভালনারেবিলিটি আছে, কিন্তু এখানে এয়ার কোয়ালিটি অসম্ভব ভালো। আমেরিকায় ইমিগ্রেন্ট হিসেবে তোমার অনেক ভালনারেবিলিটি আছে, কিন্তু ট্রান্সপোর্টেশন অনেক উন্নত। আমেরিকায় ইমিগ্রেন্ট হিসেবে তোমার অনেক ভালনারেবিলিটি আছে, কিন্তু তুমি গে বলে কেউ তোমাকে কোপাতে আসবে না যদি তুমি সিস পাসিং সমকামী পুরুষ হও।