SUHAILA

"I had already come out as queer and atheist. Then when I came out publicly as bisexual, my family came charging to my room. "
Atheist, Bisexual, And Queer


I had already come out as queer and atheist. Then when I came out publicly as bisexual my family came charging to my room. They said, “Make that status private! Do not tell other people! What will people think?” They are not as bothered about the sexuality aspect as they are about what people will think. This is the thing about people from upper middle-class and middle-class—they care more about what other people will think. We are upper middle-class and so fearing what others will think, they told me not to express this to other people. I told them, “OK, I'm fine with that, but I'm still bisexual.” They said, “We don't care!” Definitely they care but they just didn't want me to express that side. Then one day I exploded that I'm not a Muslim. I'm an atheist. That was more hurtful to my parents than me being queer was. Like, my mother cried a lot about it. She cries even now. Like, it has been 1.5 years I think that I have been an atheist in front of them. There have been lots of fights. We still sometimes fight. The fights are less regular now. But we still do fight and they result in a lot of tears and hurling insults at each other's beliefs. But one thing I know is that they really love me a lot. My father is liberal. My mother is very religious. She wears burqa and if she could then would wear niqab. It's very difficult for her to accept and I don't think she accepted. But she tolerates it at this point. She just tolerates the fact that I'm an atheist.

মানুষ আগে থেকেই জানতো যে আমি কুইয়্যার এবং নাস্তিক। কিন্তু আমি যখন সবার সামনে [সোশ্যাল মিডিয়া] নিজেকে বাইসেক্সুয়াল হিসেবে প্রকাশ করলাম তখন আমার বাবা-মা আমার দিকে তেড়ে আসে। “তোমার স্ট্যাটাসটা প্রাইভেট করো।”, “অন্যদের বইলো না।”, “মানুষ কী ভাববে?” তারা আমার সেক্স্যুয়ালিটির চেয়ে লোকে কী ভাববে সেইটা নিয়েই বেশি চিন্তিত ছিল। উচ্চ মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকেদের এই একটা জিনিস, অন্য মানুষ কী ভাববে এইটা নিয়েই তাদের সব সময় চিন্তা। আমরা যেহেতু উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণির, তাই লোকে কি বলবে সেটা নিয়ে ভয় পেয়ে তারা আমাকে পাবলিকলি কাম আউট করতে নিষেধ করছিল। আমি বলেছিলাম, “আচ্ছা, সমস্যা নাই, কিন্তু তোমরা জেনে রাখো আমি বাইসেক্সুয়াল।" তারা বললো, “আমাদের তাতে কিছু যায় আসে না।” আসলে কিন্তু তাদের অনেক কিছুই যায় আসে, জাস্ট আমার সামনে প্রকাশ করতে চায়নি। তারপরে বোমা ফাটানোর মত করে একদিন বলছি - আমি মুসলমান না, আমি নাস্তিক। বাবা-মার কাছে আমার কুইয়্যার হওয়ার চাইতেও এটা মেনে নেয়া বেশি কষ্টের ছিল। আমার মা অনেক কাঁদছিল, এমনকি এখনো এটা নিয়ে সে কান্নাকাটি করে। তাদের সামনে নিজেকে নাস্তিক হিসেবে আউট করার দেড় বছর পার হয়ে গেছে। এসব নিয়ে অনেক ঝগড়া-ঝাটি হইছে, এখনো প্রায়ই হয় কিন্তু আগের চাইতে কম। ঝগড়া ঝাটির সময় একজন আরেকজনের বিশ্বাসকে অপমান করি, চিৎকার করি, কখনো কখনো কান্নাকাটিতে গিয়ে থামে। কিন্তু একটা জিনিস জানি, আমাকে তারা সত্যিই অনেক ভালবাসে। আমার বাবা লিবারাল ধরণের মানুষ, মা খুবই ধার্মিক। সে বোরখা পরে এবং যদি পারতো তবে নিকাব পরতো। মায়ের জন্য এটা [নাস্তিকতা] মেনে নেয়া খুবই কঠিন এবং আমার মনে হয় না সে মেনে নিয়েছে। কিন্তু এখন একটা পর্যায়ে এসে সে আমার নাস্তিক হওয়ার ব্যাপারটা সহ্য করে নেয়।
Namaz Vs. Period


I have a very complicated relationship with my parents. They love me a lot. I love them a lot. We also don't agree on everything. But we have learned to make peace with those. In our house, we don't raise those topics. Because we know that both parties will end up in tears. We used to have a lot of arguments. But now we just don't talk about it. For example, I like to fast. But they know I'm an atheist. I fast because I like iftar [the meal eaten by Muslims after sunset during Ramadan]. I like the taste of iftar when I fast (laughs). Another example, in the month of Ramadan our whole family prays Maghrib prayer [prayer at dusk] together. That's something we have done every year throughout my life. That’s something I can't stop now just because they know I'm an atheist! They let me pray. Last year was the first Ramadan where I participated as an atheist who is out to my family. When I had my period, I said, “I'm going to pray.” My mother said, “No, you can't pray! You're on your period!” I replied, “Does it matter? I'm an atheist anyways!” Then my mother argued, “But no! You cannot pray like this because you're on your period!” My father is moderate and liberal. He said, “Let her pray. It's fine. Maybe she'll change her mind one day.” So they know that I'm not praying because of prayers. I'm praying because it's a family bonding event.

বাবা-মার সাথে আমার সম্পর্কটা বেশ জটিল।। তারা আমাকে খুবই ভালবাসেন, আমিও তাদেরকে খুবই ভালবাসি। আমরা সবকিছুতে একমত হই না। কিন্তু যেসব জিনিস নিয়ে আমাদের মধ্যে দ্বিমত তৈরি হয় সেগুলো নিয়ে শান্তি বজায় রাখা শিখছি। আমাদের বাসায় আমরা বিতর্কিত বিষয়ে কথা তুলি না কারণ আমরা জানি এসব তর্ক শেষ পর্যন্ত কান্নায় গিয়ে গড়ায়।একটা সময় ছিল আমরা এইসব নিয়ে অনেক তর্ক করতাম, কিন্তু এখন এগুলা নিয়ে আমরা জাস্ট কোনো কথাই বলি না। যেমন ধরো, আমার রোজা রাখতে ভালো লাগে, যদিও তারা জানে যে আমি নাস্তিক। আসল কথা হলো আমার ইফতারি করতে ভাল লাগে তাই রোজা থাকি। রোজা রাখলে ইফতারি খেতে বেশি মজা লাগে (হাহা)। আরেকটা জিনিস হল, রোজার মাসে আমাদের পুরো পরিবার একসাথে মাগরিবের নামাজ পড়ি। এইটা আমরা সারাজীবন ধরে করে আসছি, তাই এখন যেহেতু আমার নাস্তিকতার কথা বাসার সবাই জানে, শুধু এ কারণে তো আর বন্ধ করে দিতে পারি না! তারাও আমাকে নামাজ পড়তে কোনো বাঁধা দেয় না। গত বছর আমি নিজেকে নাস্তিক হিসেবে আউট করার পরে প্রথমবারের মত রোজা রেখেছি। আমার যখন মাসিক হল, আমি বলছিলাম, “আমি নামাজ পড়বো।” মা বললেন, “না, তোমার মাসিক চলছে, তুমি নামাজ পড়তে পারবে না।” আমি বললাম, “তাতে কি? আমিতো নাস্তিক!” তারপরেও মা বললেন, “না, তোমার যেহেতু মাসিক চলছে তুমি এভাবে নামাজ পড়তে পারো না।” আমার বাবা মডারেট ও লিবারাল মানুষ। তিনি বলেছিলেন, “ঠিক আছে, ওকে নামাজ পড়তে দাও, হয়তো একদিন তার মনের পরিবর্তন হবে।” তারা জানে যে আমি নামাজ পড়তে হবে বলে পড়ি না বরং এটা যেহেতু আমাদের বাসার সকলের কাছাকাছি আসার একটু মুহুর্ত তাই পড়ি।
Imposter Syndrome


I think until my third year [in college]... I felt like I did not belong. I felt, ‘This is not my place. I'm just floating here.’ I had severe imposter syndrome. Basically, I felt that I just have to graduate in four years and then I'll be done. Maybe I'll be back home or something. But after 2.5 years, that changed... It was because of two reasons. Number one is that I got over my clinical depression. I was admitted to a hospital. I recovered. The other thing is that I became friends with an atheist boy. He was a genuine friend. So I was creating some genuine friendships, umm... Being able to explore new ideologies, like, my ideologies were getting challenged. Most importantly, I found a place in an a cappella group. Because you know in every student organization, you'll see people forming cliques and inner circles. And I was never part of the inner circle. So I always felt left out. Even though people were very friendly with me, they were very nice to me, and they always invited me to things. I just didn't feel like I had access to that inner circle. But once I became friends with the atheist boy, he was also part of that a cappella group. That's why, it became much easier for me to fit into that a cappella group. I slowly started feeling a sense of belonging. Also, I joined organizations and student clubs where I found some really meaningful friendships. That’s why I felt that I belong here.

আমার মনে হয় কলেজের তৃতীয় বর্ষ পর্যন্ত আমি এখানে [ইউএসএ] বিলং করি সেরকম লাগতো না। আমার মনে হত, ‘এটা আমার জায়গা না। আমি যেনো এখানে কেবল ভেসে বেড়াচ্ছি’। আমার সিভিয়ার ইম্পোস্টার সিনড্রোম ছিল। আমি ভাবতাম চার বছরের মধ্যে আমাকে পাশ করতে হবে, তারপর আমার কাজ শেষ, আমি দেশে ফিরে যাবো বা এমন কিছু। কিন্তু আড়াই বছর পরে এই চিন্তা বদলে গেছে… এর মূল কারণ দুটি। প্রথমত আমার ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলাম। আমি একটা হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম এবং সেখান থেকে সুস্থ হয়েছিলাম। আরেকটা দিক হল, আমার একটা নাস্তিক ছেলের সাথে বন্ধুত্ব হয় এবং সে খুব ভালো বন্ধু ছিল। মানে আমার কিছু বন্ধুত্ব তৈরি হচ্ছিল, যার মাধ্যমে নতুন সব চিন্তার সাথে পরিচিত হতে পারছিলাম, ফলে আমার নিজের চিন্তারও বিকাশ হচ্ছিল। এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার, আমি একটা আকাপেলা গ্রুপে জায়গা পেয়েছিলাম। প্রত্যেক ছাত্র সংগঠনেই একটা ইনার সার্কেল থাকে, আমি কখনো সেই সার্কেলের অংশ ছিলাম না। এজন্য আমার নিজেকে বিচ্ছিন্ন আর একা একা লাগতো, যদিও তারা আমার প্রতি খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল, খুবই সদয় ছিল, সবসময়েই আমাকে বিভিন্ন জিনিসে ডাকতো। আমার শুধু মনে হত আমার ঐ ইনার সার্কেলটার সাথে মেশার এক্সেসটা ছিল না। কিন্তু যখন আমার ঐ নাস্তিক ছেলেটার সাথে বন্ধুত্ব হল, সেও ঐ আকাপেলা গ্রুপের অংশ ছিল, তখন তাদের সাথে মেশাটা সহজ হয়ে গিয়েছিল। এবং ধীরে ধীরে এখানকার উপর একটা বিলংগিং এর অনুভূতি পেতে শুরু করেছিলাম। আমি আরো কিছু সংগঠন ও ক্লাবে যোগ দেয়ার পর দারুণ কিছু বন্ধুত্বের সম্পর্ক খুঁজে পাই যে কারণে আমার মনে হতে লাগলো যে আমি এখানে বিলং করি।
Come Back To Bangladesh


What reason do I have to stay in the USA other than a job? Finding a job was getting really difficult. Then my dad visited me after my grandmother died. My grandmother had dementia for seven or eight years. My mother took care of her for all that time and she always had her hands busy. When my grandmother died, my mother didn't have anything else to do. And she called me up, cried, and said, “What will I do now!” That struck a bell. And here [in the USA] it was hard to get a job. I mean, maybe if I tried really hard I would have gotten a job. But I wasn't trying the hardest. Not as hard as many of my other peers were trying. When my father came to visit me, he said, “Why don't you come back to Bangladesh? You know, if you stay here, you have to earn your place in society from scratch. But in Bangladesh you have a home. You have your family. You have people to take care of you. You have a friend circle. You can get a job. If you don't want to do a job then you can have a business.” I always wanted to be an entrepreneur. He said, “You can do business which you cannot do here. You have to start literally from zero!” For the first time in my life, I did not oppose my parents (laughs). I sat in with that thought for a little bit. Then I said, “You know what? You are right. But how exactly am I going to come back to Bangladesh without my cat?” We found a way to bring my cat back to Bangladesh and that was when I was like, ‘OK, I am coming back to Bangladesh.’

একটা চাকরি পাওয়ার আশা ছাড়া আমার আমেরিকায় থেকে যাবার কথা চিন্তা করার আর কোনো কারণ ছিল না। কিন্তু চাকরী পাওয়া আসলেই খুব কঠিন মনে হচ্ছিলো। আমার দাদী মারা যাওয়ার পরে আমার বাবা আমাকে আমেরিকায় দেখতে আসছিল। দাদী মারা যাওয়ার আগে ছয় বা সাত বছর যাবত ডিমেনশিয়ায় ভুগছিল। তার যত্ন ও দেখাশোনা করার দায়িত্ব থাকায় আমার মা সবসময়ই তাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকত। কিন্তু যখন দাদী মারা গেলো, আমার মায়ের আর তেমন কিছু করার ছিল না। সে আমাকে ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করতো, বলতো, “আমি এখন কী করবো?” এটা একটা ব্যাপার ছিল। এবং এখানে আমেরিকায় চাকরি পাওয়া খুব কঠিন হয়ে গিয়েছিল। অবশ্য যদি আমি সত্যিই অনেক চেষ্টা করতাম তাহলে মনে হয় একটা চাকরী হয়ে যেত, আমি আসলে অন্যরা যতটা চেষ্টা করছিল, অতটা করি নাই। যখন আমার বাবা আমাকে দেখতে আসে, সে বলেছিল, “তুমি বাংলাদেশে চলে আসো, এখানে থাকলে একদম শূন্য থেকে শুরু করে সমাজে জায়গা করে নিতে হবে, কিন্তু বাংলাদেশে তোমার একটা বাড়ি আছে, তোমার পরিবার আছে, তোমার যত্ন করার মানুষ আছে, বন্ধুরা আছে, তুমি সহজেই চাকরী পাবে আর চাকরী করতে না চাইলে ব্যবসাও করতে পারবে।” আমি সবসময়েই একজন উদ্যোক্তা হতে চাইতাম। বাবা বলেছিল, “তুমি বাংলাদেশে ব্যবসা করতে পারবে যা এখানে পারবে না, এখানে তোমার একদম শূন্য থেকে শুরু করতে হবে।” জীবনে প্রথমবার আমি বাবা-মার সাথে দ্বিমত করলাম না (হাহা)। আমি কিছুক্ষণ বসে চিন্তা করলাম, এবং বললাম, “তুমি ঠিকই বলেছো। কিন্তু আমি আমার বিড়ালটাকে ছাড়া কীভাবে বাংলাদেশে যাবো?” যাই হোক, আমরা আমাদের বিড়ালটাকে প্লেনে করে বাংলাদেশে নিয়ে যাবার একটা উপায় বের করে ফেলি এবং তারপরেই বাবাকে বলি, "আচ্ছা, এবার তাহলে আমি বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছি”।