IMRAN SUNNY

"I was scared to find a sex partner in Dhaka after my boyfriend was murdered by Al-Qaeda."
Who Cares


Chittagong is my hometown. I grew up there. Potenga sea beach was one of my favorite spots in Chittagong. He [Tonoy] wanted to go to the sea beach. So we went there. Suddenly he told me, “I want to dress up like a girl! I always wanted to walk across the beach draping a red shari [unstitched garment traditionally worn by South Asian women] and take many pictures.” Deep inside I was like ‘OMG’ (laughing). I was not ashamed of Tonoy. I was concerned about our safety. What if people say something? What if someone tries to extort us? What if they try to harm us? But I didn’t express my concerns to Tonoy. I told him, “Sure!” While he [Tonoy] was doing make-up and wearing shari, my heart was racing. But I maintained a calm face as if I was enjoying it! To be honest, I was enjoying it! I loved seeing him in drag. I still have those photos. He was walking by the sea. His achol [loose end of shari] was waving in the wind. We took so many pictures, maybe some selfies. I was constantly scanning the surroundings— to look for any threats, like, if anybody was coming to talk to us or say anything to us. But people just stared and left—nothing bad happened. So, we got lucky. Later, Tonoy told me that it was actually a test to check if I would be comfortable with him cross-dressing in public. I said, “I have no issue with your cross-dressing. I was only worried about our safety.” He [Tonoy] said, “Who cares!”

চট্রগ্রাম আমার হোমটাউন। আমার বেড়ে ওঠা ওখানে। পতেঙ্গা সমুদ্রে সৈকত চট্রগ্রামে আমার খুব প্রিয় একটা জায়গা। তো ও [তনয়] একদিন সমুদ্র পাড়ে যেতে চাইলো। আমরা গেলাম। যাবার পর তনয় বলে, "আমি মেয়ে সাজতে চাই! আমার অনেকদিনের শখ সমুদ্রপাড়ে লাল শাড়ি পরে হেঁটে বেড়াবো।" আমি তো ভিতরে ভিতরে লাইক 'ও মাই গড' (হাসি)। মানে আমার ওরে [তনয়] নিয়ে কোনো লজ্জা ছিল না যে ও মেয়ে সাজবে। আমি ভাবছিলাম আমাদের নিরাপত্তার কথা। যদি কেউ কিছু বাজে মন্তব্য করে? যদি কেউ অন্য কোনো ধান্দা করে বা আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে? তবে আমি সেটা আর তনয়কে বললাম না। মুখে বললাম, "শিউর!" তনয় যখন শাড়ি পরে আর মেক আপ নিচ্ছে, আমার তো বুকের মধ্যে ধুকপুকানি চালু হয়ে গেছে। কিন্তু চেহারায় এমন ভাব ধরে থাকলাম যে আমি খুব এনজয় করছি। আমি কিন্তু আসলেই এনজয় করছিলাম। আমি খুব ভালোবাসতাম তনয়ের ড্র্যাগ করা। ঐ ছবিগুলা এখনো আমার কাছে আছে। তনয় সমুদ্রের ধারে বাতাসে শাড়ির আঁচল উড়ায়ে হাঁটছে। আমরা ছবি তুলছিলাম, অনেক সেলফি তুলছিলাম। কিন্তু পুরাটা সময় আমি বারবার আমাদের চারপাশ 'স্ক্যান' করছিলাম। আমি খেয়াল রাখছিলাম কেউ আমাদের দিকে আসছে কিনা বা কেউ কোনো মন্তব্য করলো কিনা। কিন্তু আসলে তেমন কিছু হয় নাই। মানুষ খালি তাকাচ্ছিলো। সো সেদিন আমাদের ভাগ্য ভালো ছিল। পরে তনয় আমারে বলে যে ঐটা নাকি আমার একটা টেস্ট ছিল—আমি ওর ড্র্যাগ করা নিয়ে কম্ফোরর্টেবল ফিল করি কিনা। আমি ওরে বললাম, "তোমার ড্র্যাগ নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নাই। আমি খালি আমাদের নিরাপত্তার কথা ভাবতেছিলাম।" জবাবে সে [তনয়] বলে, "হু কেয়ারস!"
Gender-Fluid


Tonoy loved doing drag. He told me that he liked to dress up like a girl since childhood. That didn’t mean he identified himself as a girl. He was comfortable performing both male and female genders. His family took it normally at the beginning. Tonoy was the youngest in the family. He used to dress up like a girl and dance at family events. He has shown me his childhood photos dressed up as a girl. His father never liked it but he didn’t object at first. But one day his father beat him when Tonoy was 8 or 9 years old for dressing up like a girl. That’s how he became distant from his family. Tonoy wanted to change his sex at the age of 13 or 14. Because he saw that’s how society was working. He could be with a guy if he were a woman. Then he found out that sex change was a complicated process. And also realized he wasn’t fully comfortable in any gender. I think he wanted to become a woman because at that time he was in a relationship with a guy who would only marry a woman. He grew out of it soon and realized he was gender-fluid.

তনয় ড্র্যাগ খুব পছন্দ করতো। ও ছোটোবেলা থেকেই মেয়েদের পোশাক পরতে খুব ভালোবাসতো। তার মানে এই না, ও নিজেকে মেয়ে ভাবতো। সে মেয়ে হিসেবে কমফোর্টেবল ফিল করতো আবার ছেলে হিসেবেও। তার ফ্যামিলিতে এটাকে প্রথমে সবাই সহজভাবেই নেয় কারণ ও পরিবারে সবার ছোট ছিল। সে ফ্যামিলি ইভেন্টগুলাতে মেয়েদের জামা পরে নাচানাচি করতো। আমাকে ছোটবেলায় ওর মেয়েদের জামা পরা ছবিও দেখিয়েছিল। ওর বাবা এটা পছন্দ না করলেও শুরুতে কিছু বলতো না। যখন একটু বড় হল, ওর ৮ বা ৯ বছর বয়স, তখন মেয়েদের জামা পরার কারণে ওর বাবা ওকে কয়েকবার মারছে। এইভাবেই ওর পরিবারের সাথে দুরুত্ব শুরু হয়। তারপর ১৩ কি ১৪ বছর বয়সে ও ওর সেক্স চেঞ্জ করতে চাইছিল, কারণ সমাজ এমনেই চলে - ও যদি মেয়ে হয় তাহলেই শুধু একটা ছেলের সাথে থাকতে পারবে। ও যখন সেক্স চেঞ্জ কথা ভাবছিল, দেখলো যে এটা খুব কঠিন প্রসেস। ও যে একটা নির্দিষ্ট জেন্ডারে কমফোর্টেবল না সেটাও বুঝছিল। আমার মনে হয় সে যে ঐসময়ে মেয়ে হইতে চাইছিল তার কারণ, ঐ সময় সে যেই ছেলেটার সাথে প্রেম করতো, সে শুধু কোনো একটা মেয়েকেই বিয়ে করবে। যখন আরো বড় হলো, তনয় বুঝলো সে আসলে জেন্ডার ফ্লুইড।
Tonoy Was There


It appeared on a news channel scroll that two people were stabbed. My heart skipped a beat. Was Tonoy there? The news channel announced that one of them was murdered and another person was severely injured. ‘Murdered’? So there was no hope there. I realized who was dead. It was Xulhaz. I couldn’t stop that time. I began to cry. I had to… you know… (Sunny crying and taking a pause). Give me a minute. (silence). So one dead and another injured. So I thought the injured person must be Tonoy. So he had a chance of survival (sobbing). At that time a friend of mine called me. I learned from him that Atif [friend] was going to Xulhaz’s house but Xulhaz was killed by the time Atif arrived there. I immediately called Atif. I asked, “Atif, tell me what happened? How much do you know? What did you see?” Atif told me that he didn’t see much and he quickly left the crime spot. (long pause). Then I asked him if Tonoy was there (crying). Atif was silent. After some time he said, “Yes, Tonoy was there.” It made everything clear to me. Atif said, “I am sorry, Sunny.” I understood why everyone was hiding the name of the second person from me. Everyone knew that Tonoy was with Xulhaz and he was… Oh god! He [Tonoy] was attacked as well. Then the news channel announced that the second person was dead. They announced their names—Xulhaz Mannan and Mahbub Rabbi Tonoy (long pause). I think… my heart broke. And… I was actually lucky that I had a friend staying over at my place. I remember how badly I wanted to scream out loud. But I couldn’t. My mother lived in the next room with the rest of the family. I didn’t want them to know. But I wanted someone to know. I wanted someone to understand what I was going through. I remember telling my friend, “At least Tonoy could have survived.” Of course, I was being selfish. But I had a tiny-tiny hope that Tonoy survived the attack!

একটা খবরের চ্যানেলের স্ক্রলে দুইজন মানুষ ছুরিকাঘত হওয়ার খবর দেখাচ্ছিল। আমার বুকটা ধক করে উঠলো, তনয় নাইতো ওখানে? খবরে বললো একজন মানুষ নিহত ও আরেকজন গুরুতরভাবে আহত। নিহত? তার মানে তো কোনো আশা নাই। আমি বুঝতে পারছিলাম জুলহাজ নিহত হইছে। আমি আর নিজেকে থামাতে পারি নাই, আমি কাঁদতে শুরু করছিলাম, আমি… জানো… (কান্না) আমাকে একটু সময় দাও (নিরাবতা)। সো একজন আহত আর একজন নিহত। আমি ভাবছিলাম, তার মানে আহত মানুষটা হলো তনয়, মানে তার তো এখনো বাঁচার আশা আছে (ফুপিয়ে কান্না)। তখন এক বন্ধু কল দিল। তার কাছে থেকে জানলাম, ঐ সময় আতিফ জুলহাজের বাসার দিকে যাচ্ছিল, কিন্তু তার বাসায় পৌছানোর আগেই জুলহাজ খুন হয়ে গেছে। আমি সাথে সাথে আতিফকে ফোন দিলাম, “আতিফ কী অবস্থা? তুমি কতটুকু জানো? তুমি কি দেখছো বলো আমাকে।” ও আমাকে বললো, বেশি কিছু দেখে নাই, ও তাড়াতাড়ি ঐ জায়গা থেকে চলে আসে। (লম্বা নিরাবতা) তখন ওকে জিজ্ঞেস করলাম, “তনয় কি ওখানে ছিল?” (কান্না) আতিফ চুপ করে ছিল, কিছু বলছিলো না। কিছুক্ষণ পরে বললো, “হ্যাঁ, তনয় ওখানে ছিল।” আমার কাছে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে গেলো। আতিফ বললো, “আই এম সরি, সানি”। তখন বুঝতে পারলাম আমাকে কেউ কেন দ্বিতীয় মানুষটার নাম বলছিলো না। সবাই জানতো তনয় তখন জুলহাজের বাসাতেই ছিল, আর সে… ওহ গড! এবং তনয়ের উপরেও এট্যাক হইছে। এরপরে টিভি চ্যানেলে আরেকজন নিহতের খবর দিল। নিউজে দেখালো—জুলহাজ মান্নান ও মাহবুব রাব্বি তনয় (লম্বা নিরাবতা)। আমার মনে হলো, আমার বুকটা বুঝি ভেঙেই গেলো। আমার ভাগ্য ভালো যে তখন আমার সাথে আমার একটা বন্ধু ছিল। আমার মনে আছে, খুব চিৎকার করে কান্না করতে ইচ্ছা হচ্ছিলো। কিন্তু পারছিলাম না কারণ আমার পাশের রুমে আম্মু, বাসার সবাই ছিল। আমি চাই নাই তারা এটা জানুক। কিন্তু কারো সাথে কথা বলতে চাচ্ছিলাম, যে আমার মনের অবস্থাটা কেউ একজন বুঝুক। আমার মনে আছে, আমার বন্ধুকে বলছিলাম যে, “তনয়টা যদি বাঁচত”। আমি অবশ্যই সেলফিশের মত ভাবছিলাম, আমার মনের মধ্যে একটা ছোট্ট আশা ছিল তনয়টা অন্তত যদি বেঁচে যায়।

Artifacts
Artifact: Childhood photo of Mahbub Rabbi Tonoy

Date Created: September 13, 2021 (Scanned)
Artifact: Childhood photo of Mahbub Rabbi Tonoy

Date Created: September 13, 2021

Artifact: Dancing at family event, childhood photo of Mahbub Rabbi Tonoy

Date Created: September 13, 2021
Artifact: Photo of Mahbub Rabbi Tonoy, shot by Imran Sunny in Potenga

Date Created: December, 2014

Artifact: Photo of Mahbub Rabbi Tonoy, shot by Imran Sunny in Potenga

Date Created: December, 2014